যুক্তরাজ্যকে কোহিনূর ফেরত দিতে বলল পাকিস্তান

যুক্তরাজ্যকে কোহিনূর ফেরত দিতে বলল পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১০৮ ক্যারেট কোহিনুর হীরা। ঔপনিবেশিক যুগে যা চলে গিয়েছিল ব্রিটিশদের হাতে। ঐতিহাসিক দুর্মূল্য রত্নটির মালিকানার স্বত্ব নিয়ে বিরোধ লেগেই রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে। ভারত সহ বিশ্বের চারটি দেশ দাবি করে এই অমূল্য রত্ন তাঁদের সম্পদ। এরই মাঝে  পাকিস্তান নিজের দাবি করে কোহিনূর ফেরত দিতে হবে ইউনাইটেড কিংডমকে। কোহিনূর ফিরিয়ে দিতে হবে লাহোর সংগ্রহশালায়।

পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রী ফাউয়াদ চৌধুরী তাঁর টুইটার পোস্টে বলেন, ১৯১৯ সালের জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যা এবং বাংলার দুর্ভিক্ষের ১০০ তম বর্ষ পূর্তির জন্য যুক্তরাজ্যকে সরকারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাইতে হবে। ” এই দাবী সম্পূর্ণরূপে বলে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের উপর হওয়া জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যা ও বঙ্গ দুর্ভিক্ষের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। এই সব ঘটনা ব্রিটেনের মুখের উপর কালো দাগ। এছাড়াও কোহ-ই-নূর লাহোর সংগ্রহশালায় ফিরিয়ে দিতে হবে, যা তার প্রকৃত স্থান।

কোহ-ই-নূরের অর্থ আলোর পর্বত। ১৪ শতকে দক্ষিণ ভারতে দেখা মিলেছিল বর্ণহীন, বৃহৎ এই হীরের। ১০৮ ক্যারেটের কোহিনুর রত্ন, ঔপনিবেশিক যুগে ব্রিটিশদের হাতে পড়েছিল। ১৮৪৯ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পাঞ্জাব দখল নিলে ব্রিটেন এই দৈত্যাকৃতির হীরে হস্তগত করে। ভারত এই হিরের দাবি পেশ করেছে। ব্রিটিশ সরকারকে অনুরোধ করেছে, রত্ন বর্তমানে লন্ডন টাওয়ারের উপর অবস্থান করছে। গত চার বছর ধরে লাহোর হাইকোর্টে এই মামলা মুলতবি রয়েছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’ জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনাকে “লজ্জাজনক ঘটনা ” বলে আখ্যায়িত করলেও সংসদের ক্রস-বিভাগ কর্তৃক আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা করেই হাত গুটিয়ে নেয় তাঁরা, ইতিহাস বলছে এমনটাই। এক বিবৃতিতে বলা হয়, “হাউজ অব কমন্সে” ১০০ তম বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। সরকার এই বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে। সংসদ কমপ্লেক্সের ওয়েস্টমিন্স্টার হলে ব্রিটিশ সাংসদরা বিবৃতি দিয়েছে, এই গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে শনিবার।

১৯১৯ সালের এপ্রিল মাসে অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগ এলাকায় গণহত্যা সংঘটিত হয়, যখন কর্ণেল রেনল্যান্ড ডায়ার-এর আদেশে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের প্রাক মহড়ায় জনতার ভিড়ের মধ্যে থেকে বন্দুক চালায়। ঐতিহাসিক রেকর্ডগুলি দাবি করে যে ডায়ার সতর্কবাণী ছাড়াই জমায়েত হয়েছে এবং ১০ মিনিটের জন্য এই কাণ্ড ঘটেছে। এমনকি যখন সবাই পালানোর চেষ্টা করছিল, তখন সৈন্য ও সাঁজোয়া গাড়ি দিয়ে প্রধান প্রস্থান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এক হাজারের বেশি নিরস্ত্র পুরুষ, নারী এবং শিশু-কিশোরদের হত্যা করা হয়। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গে দেখা দেয় দুর্ভিক্ষ।সূত্র:কলকাতা ২৪x৭

মতিহার বার্তা ডট কম  ১৪ এপ্রিল  ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply